• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

বাড়ির চারপাশ বেড়া দিয়ে তিন পরিবারকে অবরুদ্ধ

  • ''
  • প্রকাশিত ২৬ নভেম্বর ২০২৩

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

জমি লিখে না দেয়ায় বাড়ির চারপাশ বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে তিনটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। এতে ২২ নভেম্বর থেকে অবরুদ্ধ তিনটি পরিবার বাড়ির বাইরে যেতে পারছে না পরিবারের ১০ সদস্য। মাদারীপুরের শিবচরের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে বইছে সমলোচনার ঝড়। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার কারোই অধিকার নেই উল্লেখ করে জেলা প্রশাসন বলছে, এ ব্যাপারে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের মির্জারচর গ্রামের আব্দুর রহমান মাতুব্বরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে প্রতিবেশি ফিরোজা আক্তারের। এ নিয়ে আদালতে মামলাও করেন আব্দুর রহমান। সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে লোকজন নিয়ে আব্দুর রহমান মাতুব্বর ও তার চাচা আব্দুল সত্তার মাতুব্বর এবং চাচাতো বোন ফরিদা আক্তারের ঘরের চারপাশে বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে বাঁশকান্দি ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজা আক্তারের বিরুদ্ধে। বেড়া দেয়ায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীও।

ভুক্তভোগী আবদুর রহমান মাদবর বলেন, বাথরুমে যেতে পারি না। গোসল করতে যেতে পারি না। নামাজ পড়তে যেতে পারি না। পানি পাই না। খুব কষ্ট। আমরা বলি এই বেড়া দিয়ে তোরা জমিন নিবি নাকি, ওরা বলে হয়, তোমাকে হাগতেও দিমু না। মুততেও দিমু না। এখন বাথরুম গোসলখানায় না গিয়ে আমরা কিভাবে থাকতে পারি না? এখন আমাদের দাবী, আমাদের কাছে ওরা কোন জমি পাবে না। এখন জোরপূর্বক ভাবে ওরা আমাগো জমিন আমাগো টাকা দিয়ে দলিল কইরা নিবো। এই হুমকি ধামকি আমাগো দিতেই আছে। আমাদের বাড়ির সবদিকে বেড়া দিয়ে আমাদের চলাচল বন্ধ করছে।

আবদুর রহমানের বাবা কাদির মাতুব্বর বলেন, আমাদের আদালতে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেয়ায় দফায় দফায় অসহায় পরিবারকে হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এখন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ফিরোজা আক্তার ও তার ভাই ফারুক মাদবরের দাবি, পৈত্রিক জমি বেদখল থাকায় বেড়া দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। তারা বলেন, যে জমিনে বেড়া দেওয়া হয়েছে ওটা আমাদের দলিলের সম্পত্তি। অনেক বার সালিশ দরবার হইছে। তারা কিছুতেই মানে না। তাই এলাকাবাসী মিলে আমরা বেড়া দিয়েছি।   তারা কোন সালিশ মানে না। বিচার মানে না। সবশেষ শিবচর থানায় ডাকছে সেখানেও যায় না। তাই আমরা বেড়া দিয়েছি আমাদের জমিনে।

বিষয়টিকে অমানবিক উল্লেখ করে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, শিগগিরই পরিবার তিনটিকে মুক্ত করতে ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন। এছাড়া তারা যদি আমাদের কাছে আইনগত সহযোগিতাও চায় তাহলে আমরা সেটাও করব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads